
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং এর সুফল সাধারণ জনগণের কল্যাণে নিশ্চিত করতে হলে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে বাংলাদেশ যেন নেতৃত্ব দিতে পারে সেজন্য আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এএই), ব্লক চেইন (বিসি), আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস), ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি ও রোবটিকস এর মতো ফন্ট্রিয়ার প্রযুক্তিগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আমাদের তথ্য ও প্রযুক্তিনির্ভর বিভাগগুলোর পাঠ্যসূচিতে এসব বিষয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের স্পষ্ট ধারণা দিতেই এ সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও সেমিনার, আলোচনা সভা ও কর্মশালার আয়োজন করা হবে। যা শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেবে।’
গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপর গুরুত্বারোপ করে অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে শিক্ষার্থীদের গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া স্বত্ত্বেও আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য উদ্ভাবনমূলক শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট রয়েছি।
অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারের প্রথমদিনে ‘শিক্ষা ও গবেষণায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তা হিসেবে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গাজীপুরে প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশিদুল হাসান।
সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী অধ্যাপক জনাব মো. হুমায়ন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।